ছবিঃ সংগৃহীত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর ভারতীয়দের হামলা, গাছ কর্তন ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
আজ (১৯ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, চাপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ও উগ্র ভারতীয়রা বাংলাদেশের জনগণের উপর যে হামলা করেছে, তার জবাব ভারতের কাছে চাইতে হবে। সেখানে তো কেউ মারাও যেতে পারতো। ইতোপূর্বে বাংলাদেশের নাগরিককে হত্যা করে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছে বিএসএফ। হাসিনার পতন ঘটিয়ে ভারতের এই উগ্রতার জবাব দিয়েছে বাংলাদেশের জনগণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কোন ভারতের সরকার মানা হবেনা। ২য় বারের মত বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা আমাদের ধরে রাখতে হলে ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে। সরকারকে বলবো, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করুন। এমনভাবে জবাব দিন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। গতকাল চাপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকার মানুষ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। বিজিবিও সিংহের হুংকার দিয়েছে। কথা স্পষ্ট, সীমান্তে একটা লাশ পড়লে, ২ টা লাশ ফেলতে হবে। ভারতকে আর দাদাগিরি করতে দেওয়া হবেনা। এরপর থেকে সীমান্তে কোন হত্যা হলে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ভারত বড় তো কি হয়েছে? আমরা কি তাদের কাছে নত হবো? প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে অন্যান্য দেশের সাথে যে সম্পর্ক থাকে, ভারতের সাথে একই সম্পর্ক থাকবে। আওয়ামীলীগ ভারতের সাথে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তৈরি করেছিলো। তোমাদের স্ত্রী এখন তোমাদের দেশে চলে গেছে, আ.লীগের নেতারা চলে গেছে, তাদের সাথে বোঝাপড়া করো। আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে হলে জনগণের পালস বুঝতে হবে। আমেরিকাকেও বলবো, ভারতের চোখ দিয়ে আর কোন কূটনীতিক সম্পর্ক নয়, এখন থেকে সরাসরি চোখ দিয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রাখুন। ভারত মিডলম্যান হিসেবে থাকলে, সেই সম্পর্ক জনগণ আর মানবেনা।
দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হাসান আল মামুন বলেন, প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই মাননীয় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে। দীর্ঘ ১৬ বছর কারাভোগের পর ১৯ জানুয়ারি ২০২৫। ২৫৭ জন বিডিআর সদস্য জামিন পেয়েছেন। আমরা জানি আওয়ামী লীগ এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র মাস্টার প্লান অনুযায়ী ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী ৬৭ জন সেনা অফিসারকে পিলখানায় নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে আর দোষ চাপিয়েছিলো নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের উপর। বিডিআর হত্যা কান্ডের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তকে এক প্রকার ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিগত আওয়ামীলীগ আমলে প্রতিবছর গড়ে ১০০ অধিক বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী সীমান্ত হচ্ছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। আগামী দিনে এদেশের মানুষ ভারতকে আর ছাড় দিবে না। এবার তিস্তার নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে নেওয়া হবে।
দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ভারতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য সীমান্তে পরিকল্পিত ভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এখন ঐক্যবদ্ধ, ভারতকে তা অনুধাবন করতে হবে। আমরা ভারতের সাথে ন্যায্যতার সম্পর্ক চাই,গোলামীর সম্পর্ক না। সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক কিন্তু তাদের ভিতরেও আওয়ামিলীগের দোসর রয়েছে। যারা টাকার বিনিময়ে আওয়ামিলীগের নেতা গণহত্যা মামলার আসামি তাদের রক্ষা করছে।তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আমাদের এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিজয় বেহাত হতে পারে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান, হাবিবুর রহমান রিজু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সভাপতি জাফর মাহমুদ, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সোহেল রানা, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অর্নব হোসাইন প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh